|রূপ-কেয়ার ডেস্ক|
প্রেমের ৫ বছরের মাথায় অরিন ও শান্তর মাঝে মাঝেই একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, তা হলো কে কার থেকে বেশি ভালবাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাদের ভালবাসার গল্প সবার মুখে মুখে। কিন্তু ইদানিং অরিনের
মুখে প্রায়ই একটি অভিযোগ শোনা যায় যে শান্ত আর আগের মতো নেই, কেমন যেন বদলে গেছে। সারাদিন ক্লাসের বন্ধুদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। আর শান্তরও একই কথা অরিন শুধু নিজরটাই চিন্তা করে। তার দাবি সারাক্ষণ ফোনে কথা বলাই ভালবাসার বহি:প্রকাশ নয়।
প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে আসলে কে বেশি ভালবাসে এই নিয়ে তর্কের কোন শেষ নেই। এ নিয়ে এ যাবৎকাল পর্যন্ত গবেষণাও হয়েছে প্রচুর। সম্প্রতি একদল ডেনিশ গবেষক প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যকার ভালবাসার পরিমাপ নিয়ে একটি গবেষনা চালিয়ে দেখেছেন, প্রেমিক এবং প্রেমিকার ভালবাসার মাপকাঠি কখনোই এক করা ঠিক হবে না। কারন স্বভাবগত ভাবেই দুজনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ আলাদা হয়ে থাকে ।অপরদিকে প্রেমিক-প্রেমিকা যদি এই বিষয়টি বুঝতে পারেন তাহলে তাদের পক্ষে অনেক ভুল বোঝাবোঝি এড়িয়ে চলা সম্ভব । কারন তারা শুধুই প্রেমিক-প্রেমিকা নন বরং একে অন্যের সারাজীবনের পরিপুরক ।
মোট ১১০ জন যুগল এই গবেষনায় অংশ নেয়। এর মধ্যে মেয়েরা ছেলেদের মধ্যে যেই বিষয় গুলো দেখতে চায় তা হলো- স্নেহশীলতা, সময়জ্ঞান, রোমান্টিজম, উপহার, উপলক্ষ্য ইত্যাদি।
অপরদিকে ছেলেরা মেয়েদের মধ্যে যেই বিষয়গুলো গুরুত্বদেয় তা হলো: দায়িত্বশীলতা, প্রকাশভঙ্গি, রক্ষণশীলতা, আকর্ষণীয়তা ইত্যাদি।
অর্থাৎ, তাদের দাবি একে-অপরকে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করলে কখনোই সন্তুষ্ট হওয়া যাবেনা। যার যার মাপকাঠিতে তার ভালবাসার ওজন করতে হবে।
Advertisements
Tags thoughts ভালবাসা মনের জানালা
Check Also
ভালোবাসার সম্পর্ক স্থায়ী না ভেঙে যাবে? জানা যাবে এই ৫ লক্ষণে!
সারা দিন ফোনে গল্প, একসঙ্গে থাকা, একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া সাধারণত সম্পর্কে তো এমন হয়েই …