মিলা-নওশীন ইস্যুতে অভিনয় শিল্পী হিল্লোলের সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি বলেছেন, আজ মিলার সংসারের নওশীন যেটা করল, ঠিক সেটাই আমার সংসার ভাঙার সময় করেছে। সে হিল্লোলকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে আমার সংসার ভেঙে দেয়। পরে সে বিয়ে করে হিল্লোলকে। এখন সে মিলার স্বামী সানজারিকে একপ্রকার সাপোর্ট দিচ্ছে। বলতে গেলে তার এই অনৈতিক সম্পর্ক আমার সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। কী হতে পারে বলা যায় না! আসলে নওশীন নিজেই একটা ‘ক্যারেক্টার’ দুইটা গল্পে। নওশীনের কারণে আমার সন্তান থাকা অবস্থায় আমাদের আলাদা হতে হয়েছে।
সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল newsg24-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিন্নি।
এদিকে তিন্নির এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আদনান ফারুক হিল্লোল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের হুবহু তুলে ধরা হলো-
Advertisements
সম্প্রতি অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি একটি ইউটিউব চ্যানেলের ইন্টারভিউতে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, নওশীনের কারণে উনার সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছিল। যেটা আপাদমস্তক একটি ভুল তথ্য। যেটা নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার একটা প্রয়াস।
উনার (তিন্নি) সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে (কি কি ঘটেছিল তৎকালীন আমাদের কলিগ এবং সাংবাদিক মহল কমবেশি সবাই জানেন), ২০১১ সালের ২১ আগস্ট রাতে আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাই। যেটা সম্বন্ধে উত্তরা পশ্চিম থানার ২/১ জন কর্মকর্তাও অবগত ছিলেন এবং সেই বাসাতে পরবর্তীতে তিনি আরও মাস তিনেক একা অবস্থান করেছিলেন। এর পরে কোথায়ও উনার সঙ্গে আমার কখনো দেখাও হয়নি। পরবর্তীতে ২০১১ সালের শেষে উনার সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং ২০১৩ সালের মার্চ মাসে নওশীনের সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন ঘটে এবং সেই থেকে আমরা সুখে-দুখে মিলেমিশে এক সঙ্গেই আছি এবং আল্লাহ চাইলে এক সঙ্গেই থাকতে চাই।
সম্প্রতি ডিজিটাল মিডিয়াতে উনি (তিন্নি) এবং উনাদের মিথ্যাচার আমাদের পুরো পরিবারের জন্য ভীষণ রকমের মানহানির কারণ ঘটছে। যেটা সাংঘাতিক রকমের একটা ক্রাইম।
আমি কখনো চাইনি এই সমস্ত বিষয় ডিজিটাল মিডিয়ায় আলোচনা করতে, কারণ আমার মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, তার বয়স ১০ বছরের ওপরে, ধীরে ধীরে তার নিজের একটা ব্যক্তিত্ব তৈরি হচ্ছে। এই সমস্ত আলোচনা তার বাড়ন্ত বয়সে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাকে আজ এগুলো শেয়ার করতে হলো।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)