রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের প্রতিহত করতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এক নারী ফুটবলার। হঠাৎ করেই মাথা থেকে হিজাব খুলে যায় তাঁর। অপ্রস্তুত হয়ে যান তিনি। খেলা থামিয়ে মাথা নিচু করে আবারও হিজাব ঠিক করে পরে নিতে যাচ্ছিলেন। আর ওই মুহূর্তে খেলা থামিয়ে তাঁকে ঘিরে রেখে আড়াল করে রাখেন প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা, যেন তাঁর মাথা দেখা না যায়। আর এমন দৃশ্য দেখার পর অন্যের ধর্মীয় আচার-আচরণকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ওই খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন অনেকেই।
পশ্চিম এশীয় ফুটবল ফেডারেশন (ডব্লিউএএফএফ) জর্ডানে প্রথমবারের মতো ডব্লিউএএফএফ ওমেনস ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেছিল। সেখানে গত সপ্তাহে মুখোমুখি হয়েছিল শাবাব আল অর্ডন ক্লাব ও আরব অর্থোডক্স ক্লাব।
She was wearing a Hijab and the opponents huddled around to make sure that her hair's not seen. This is the most wholesome thing you will see today ???? pic.twitter.com/e3CTkN38ix
— Turgut ⚉ (@ItsSlyGuy) October 15, 2019
Advertisements
খেলার একপর্যায়ে বল নিয়ে মাঝমাঠ থেকে ছুটে যাচ্ছিলেন আরব অর্থোডক্সের এক নারী ফুটবলার। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে সামনে এগোতে থাকেন তিনি। কিন্তু ওই মুহূর্তেই তাঁর হিজাব খুলে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে মাথা নিচু করে হিজাব ঠিক করতে যাচ্ছিলেন তিনি। আর তাঁর পাশে মানবদেয়াল হয়ে দাঁড়ান প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডাররাই। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন অন্য খেলোয়াড়রাও। চারপাশে গোল হয়ে থাকেন তাঁরা, আর মাঝখানে বসে হিজাব ঠিক করে আবারও খেলায় ফেরেন ওই ফুটবলার।
এরই মধ্যে ওই মুহূর্তের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। আর ওই খেলোয়াড়দের এমন আচরণ দেখে ভালোবাসায় ভাসাচ্ছেন টুইটারবাসী। অন্যের ধর্মীয় আচার-আচরণকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখায় তাঁদের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এমবার বায়ার্ড নামের এক নারী লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে এ ধরনের মানুষ আরো প্রয়োজন।’
র্যাচেল স্যু নামে এক নারী লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধা আর খেলোয়াড়সুলভ আচরণ, আমি কাঁদছি।’
হামজা নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘তাঁদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা। তাঁরা অবশ্যই আরো ভালোবাসার যোগ্য।’