সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঠিক পরপরই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। নিজের এমন ভাবনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেছেন পার্নো।
পার্নো মিত্র নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ! আমি বহুবার আত্মঘাতী হওয়ার কথা ভেবেছি। কষ্টটা কিছুতেই যায় না। ধীরে ধীরে আমরা একটা আস্তরণের মধ্যে ঢুকে পড়ি, আর সেটা ভাঙা যায় না। এটি কারোর কাছে বলা বা প্রকাশ করা সহজ নয়। এটা আপনার সত্তার একটি অংশে হয়ে যায়।
আরও একটি টুইটে পার্নো মিত্র লিখেছেন, আমি সকলকে বলতে চাই, যদি এধরনের সমস্যায় ভোগেন তাহলে কারোর সাহায্য চাইতে পারেন। আমিও এটার মোকাবিলা করেছি। যদিও এটা সহজ ছিল না। তবে আমার পরিবার ও বন্ধুরা আমার পাশে ছিল। আমার চিৎসকের কাছ থেকেও অনেক সাহায্য পেয়েছি। দয়া করে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হতে দেবেন না।
অভিনেত্রীর কথায়, দয়া করে কাছের মানুষগুলির প্রতি যত্নবান হোন।
Advertisements
তবে শুধু পার্নো মিত্রই নন, এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন টলিউডের আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতা। যিনি হলে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাস্বর লিখেছেন, অবসাদ কী জিনিস, তা তারাই বোঝেন যারা এটার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। আমি গতবছর (২০১৯) অনেকটা সময় এই মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এটা ভীষণই কষ্টদায়ক। আমি শ্যুটিংয়ে যেতাম, সেখানে মজা করতাম, তারপর বাড়িতে ফিরলে পুরোটাই অন্ধকার, একাকীত্ব। আমি একটা একা ঘরে বসে থাকতাম, কিছু করতে, কারোর সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগতো না। শুধু আমার কাজ আমায় বাঁচিয়ে রেখেছিল। ওটা না থাকলে আমি এই অবসাদ থেকে বের হতে পারতাম না। মনে হতো ১৪ তলা থেকে লাফিয়ে পড়বো। এভাবে ৯ মাস কাটানোর পর মনে হল মনোবিদের পরামর্শ নি। তারপর মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলাম। ভাবলাম জীবন একটাই বাঁচতে হবে। কখনও কারোর সঙ্গে শেয়ার করিনি, তবে আজ সুশান্তের কথা বলতে গিয়ে এতগুলো কথা বলে দিলাম।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে অবসাদের কথা। জানা যাচ্ছে ৬ মাস ধরে অবসাদের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।