রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় ডিআইট প্রজেক্টের ১৩ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে ২১ নভেম্বর (শনিবার) সকালে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
অভিযানে ৬০০ ভরি (আট কেজি) স্বর্ণ, ১টি বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশর বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়া, তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দুইটি বিলাশবহুল গাড়ি এবং ‘অটো কার সিলেকশান’ নামের তার গাড়ির শোরুম থেকে তিনটি অনুমোদনহীন বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়।
রাজধানীর উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ সড়কের ১৩ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের অংশীদারী চার মালিকের মধ্যে একজন গোল্ডেন মনির। গত একমাস আগে এই জমজম টাওয়ারের মালিকানা বাকি অংশীদারদের কাছে ৬০ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেন তিনি।
Advertisements
এছাড়াও উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে সাফা টাওয়ারের মালিক গোল্ডেন মনির। তবে ওই টাওয়ারটি এখনো নির্মাণাধীন। বারিধারায় রয়েছে তার আলিশান অফিস কার্যালয়। অটোকার সিলেকশন নামে একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে তার।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটে উমা জুয়েলার্স নামে একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে তার। রাজউক’র পূর্বাচলে, বাড্ডা, মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে রয়েছে ২০২টি প্লট ও জমি। এর মধ্যে শুধুমাত্র মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে রয়েছে ৩৯টি প্লট ও বাড়ি।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নুর আলম বলেন, গোল্ডেন মনিরের নামে ২০০ প্লটের বরাদ্দের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে। এগুলো আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে মনির হোসেনের দুর্নীতির ঘটনায় রাজউক’র যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।